হাওজা নিউজ এজেন্সি: মুহসিন আল-মন্দালাভি এক বক্তব্যে বলেন, “যে-ই আজ জায়োনবাদী অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, সে করবালার আলো দ্বারা পথপ্রাপ্ত হয়।”
তিনি বলেন, ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বিপ্লব আজও একটি জাজ্বল্যমান বাতিঘর, যা স্বাধীনতাকামী জাতিগুলিকে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, সত্য ও ন্যায়ের জন্য বিজয়, এবং স্বৈরাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের পথে পরিচালিত করছে।
তিনি আরও বলেন, “আশুরা আমাদের শিক্ষা দেয় আত্মত্যাগ, নিষ্ঠা এবং নীতিগত অবস্থানে অটল থাকার মূল্য। ইমাম হুসাইন (আ.) অহংকার বা জাঁকজমকের জন্য নয়, বরং তাঁর নানা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের সংস্কার সাধনের জন্য আত্মত্যাগে অগ্রসর হন। তিনি সীমিতসংখ্যক সাথী নিয়ে স্বৈরশাসনের মুখোমুখি হন।”
মন্দালাভি আরও বলেন, “এই ঐতিহাসিক ও চিরন্তন উপলক্ষ আজ এমন এক সময় এসেছে, যখন বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো জাতিগুলোর মর্যাদা কেড়ে নিতে এবং তাদের অবরুদ্ধ ও অবমানিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তারা গাজার জনগণকে ধ্বংস করতে চায় এবং ইরাক, ইরান, লেবানন ও ইয়েমেন-এর ওপর লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে সেই সব দেশ অস্থির হয়ে পড়ে যারা এই অপশক্তির প্রকল্প প্রত্যাখ্যান করেছে।”
তিনি বলেন, “আজ যারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় এবং সাহসের সঙ্গে আওয়াজ তোলে, তারা করবালার আলোয় পরিচালিত হয়। কারণ ইমাম হুসাইন (আ.) হচ্ছেন প্রতিরোধের পথিকৃৎ, স্বাধীনতাকামীদের আত্মা এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠা এক শিখা।”
মুহসিন আল-মন্দালাভি শেষে বলেন, “আশুরা কেবল একটি শোকগাথা নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কারমূলক আন্দোলন, যার লক্ষ্য একটি শক্তিশালী, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও প্রতিরোধশীল জাতি গঠন। মুক্ত ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থানকারী মানুষের কণ্ঠে আজও ধ্বনিত হয় করবালার সেই শাশ্বত আহ্বান: ‘হাইহাত্ মিন্নায্-যিল্লাহ’—(আমরা অপমান মেনে নেব না)।
এই ধ্বনি সত্য, সাহস ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক।”
উল্লেখ্য যে, চলমান অন্যায়, নিপীড়ন ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে করবালার আদর্শ ও ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে ধারণ করা ছাড়া বিকল্প নেই। করবালার চেতনা আজও প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ী এবং প্রতিরোধের শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে বিশ্বের সব মজলুম ও স্বাধীনতাকামী জাতির জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে রয়েছে।
আপনার কমেন্ট